
ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি। নিষিদ্ধ মাদকও নয়। তার হৃৎপিণ্ড ছিল স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে দ্বিগুণ। আর্জেন্টিনার ফুটবল লিজেন্ড যকৃৎ ও কিডনির জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা এ খবর প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার প্রকাশ হওয়া টক্সিকোলজি রিপোর্টে আরও বলা হয়- ম্যারাডোনার শরীরে এমন ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে যা তার শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল সান ইসিদরো তার তদন্তে দেখেছেন- আর্জেন্টাইন ফুটবল নায়কের চিকিৎসার সময় কোনো অপব্যবহার হয়েছে কিনা। ম্যারাডোনাকে প্রয়োগ করা ওষুধ হতাশা এবং খিঁচুনি ধরনের সমস্যার সমাধানের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া পেটের সমস্যার কারণেও সেসব ওষুধ দেয়া হয়েছিল। এ রিপোর্ট প্রমাণ করে যে, ম্যারাডোনা কিডনি ও লিভারের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। সারা জীবন তিনি কোকেন ও মাদকাসক্তি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ম্যারাডোনা গত ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সূত্র: এএফপি, বুয়েনস এইরেস
Leave a comment