
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে পাত্তাই পায়নি মোহামেডান। হেরেছে ৩-০ গোলে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে যেতে হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে জয় তারা পেলো রীতিমতো গোল-উৎসব করে। রবিবার মোহামেডান জিতেছে ৪-১ গোলে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ ম্যাচটি ছিল দুই জাপানিরও লড়াই। দুজনেই দুই দলের অধিনায়ক। উরু নাগাতা মোহামেডানের, ইউসুকে কাতো মুক্তিযোদ্ধার। নাগাতাই জিতেছেন। সাদা-কালোদের হয়ে এদিন নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার আবিওলা নুরাত একাই করেন দুই গোল। ম্যাচের শুরু থেকেই মোহামেডান আক্রমণ হেনেছে এ দিন। তবে তাদের প্রথম গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪১ মিনিট পর্যন্ত। এর আগে একাধিক প্রচেষ্টা থেকে গোল আসেনি। ৪ মিনিটে জাপানি মিডফিল্ডার উরু নাগাতার পাসে বক্সে ঢুকে আমির হোসেন বাপ্পীর ডান পায়ের নেওয়া শটটি গোলকিপার মাহফুজ হাসান কর্নারের বিনিময়ে রুখে দেন। ১২ মিনিটে শাহেদ মিয়ার জোরালো শট বক্সের ভিতর থেকে গোলকিপার প্রতিহত করেন। ২৪ মিনিটে আতিকুজ্জামানের লম্বা থ্রো-ইন থেকে আমিনুর রহমান সজীব ঠিকমতো শট নিতে পারেননি। ৪২ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় মোহামেডান। হাবিবুর রহমান সোহাগের প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ে নেওয়া ফ্রি-কিকটি বাঁক খেয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
বিরতির পর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেছে দুইদল। তবে সফল হয়েছে শন লেনের দলই। যদিও ৬৮ মিনিটে গোল শোধ করে মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। সুজন মিয়ার ক্রস থেকে উজবেক ফুটবলার আকবরালি খোলদারভের হেড গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। এরপরই ৮ মিনিটের একটা ঝলক দেখায় মোহামেডান। ৭৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে হাবিবুর রহমান সোহাগের কর্নার থেকে ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন। ৮০ মিনিটে সজীবের পাসে নাইজেরিয়ান আবিওলা নুরাত বাঁ পায়ের আলতো টোকায় দলকে ৩-১ এ এগিয়ে নেন। ৮৩ মিনিটে সজীবের সঙ্গে ওয়াল খেলে নুরাত নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন।
Leave a comment