
‘ফাইভ আইস’ হলো পাঁচ জাতির একটি নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের সদস্য দেশগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি আরো ভালোভাবে মোকাবিলা করতে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করেছে পাঁচ দেশ। আর তাদের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছে জাপান। যদি জাপান এই নেটওয়ার্কে যোগ দেয়, তাহলে সেটি ‘সিক্স আইস’-এ রূপান্তরিত হতে পারে।
কিয়োডো নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) জাপান-মার্কিন সম্পর্ক তৈরিতে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি প্রকাশ করেছেন যে জাপান গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল। চীনের মুসলিম উইগুর সংখ্যালঘু লোকদের জোর করে আটক করা হয়েছে— এমন তথ্য দিয়েছে জাপান। উৎস গোপন রাখার শর্তে এই তথ্য জানান ওই ব্যক্তি।
একটি উৎসের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, চীনের জিনজিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে উইগুরদের বিরুদ্ধে চীনের নির্যাতন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তীব্র সমালোচনা করেছে। জাপান থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন উইগুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেইজিংয়ের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা করেছিল। কিয়োডো নিউজ এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলছে।
২০১৯ সালে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি উইগুরসহ এক মিলিয়নেরও বেশি চীনা মুসলমানকে ক্যাম্পে বন্দী করেছে। সেখানে তাদের চব্বিশ ঘণ্টা মগজধোলাই করা হয়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
Leave a comment