Uncategorized

চসিক নির্বাচন: করোনাভাইরাসের মধ্যেই চলছে ভোট

Share
Share

১০ মাস আগে করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত হওয়া নির্বাচনটি কেন্দ্র করে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দীর্ঘ ১০ মাস আগে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের(চসিক) নির্বাচন আবার করোনাভাইরাসের মধ্যেই বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ও বিএনপির শাহাদাত হোসেন সহ (ধানের শীষ) মোট সাত মেয়র প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে চসিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামীকালের চট্টগ্রামের নির্বাচন সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতা ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য যা যা দরকার আমাদের পক্ষ্য থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন, জানান তিনি।

চট্টগ্রামের নগরপিতা বেছে নিতে ১৯ লাখ ৩৯ হাজারেরও বেশি ভোটার তাদের রায় দিবেন। যার মদ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার ইসির যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, নির্বাচনের কোড লঙ্ঘনের ঠেকাতে চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৫৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১৬ জন সদস্যের একটি দল এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রে ১৮ জন সদস্যের একটি দল মোতায়েন থাকছে।

এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য সমন্বয়ে ৪১টি দলকে ভ্রাম্যমান ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে একই সংস্থার সদস্যদের আরও ১৪ টি দল এবং ৬টি দল সংরক্ষিত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে।

সেইসাথে, র‌্যাবের ৪১টি দল এবং ২৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্যদের মোবাইল ফোর্স হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছে।

অন্য পাঁচ মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), এনপিপির আবদুল মন্জুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মোমবাতি), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী খোকন চৌধুরী (হাতি)।

এছাড়া ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৪টি সংরক্ষিত আসনে ৫৭ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। ওেই তফসিল অনুসারে ২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে দেশে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভোটগ্রহণের আট দিন আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়।

এরপর, গত ১৪ ডিসেম্বর চসিক সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করে ইসি।

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles
Uncategorizedআইন-আদালতআন্তর্জাতিকপ্রচ্ছদরাজনীতিসর্বশেষ

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা টবি ক্যাডম্যানের

আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক...

Uncategorized

‘আমি মনে করি, আমরা সবাই সৎ’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমরা সবাই সৎ। অসৎ...

Uncategorized

আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চায় সরকার: ভিপি নুর

আন্দোলনের ভয়েই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়...

Uncategorized

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় যাবজ্জীবন...