টস জয়, আগে ব্যাটিং, স্বস্তিময় শুরু। প্রায় ১ বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে আর কী চাই! রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে বাংলাদেশের শুরুটা হলো ঝলমলে। হাতছানি দারুণ একটি দিনের। কিন্তু তা মিলিয়ে গেল নিজেদের দায়ে। সময় যত গড়াল, হারাতে থাকল ব্যাটিংয়ের আলো। কিছু বাজে শট আর রিভিউ না নেওয়ার বিস্ময়কর কাণ্ড মিলিয়ে সম্ভাবনাময় দিনটি শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল ম্লান।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২৪২।
স্কোরকার্ডে হয়তো খুব হতাশার কথা বলছে না, তবে দিনটি ভালো হতে পারত আরও অনেক। দলের স্কোরে পুরোপুরি ফুটে উঠছে না দিনের চিত্র। সেটি খানিকটা ফুটিয়ে তুলতে পারে ব্যক্তিগত স্কোরগুলি। আউট হওয়া ৫ ব্যাটসম্যানের ৪ জনই ছুঁয়েছেন ২৫, কিন্তু ফিফটি করেছেন কেবল একজন। সেই একজন, সাদমান ইসলাম ফিরে গেছেন ৫৯ রানে।
ব্যক্তিগত স্কোরগুলিতে যদি মিশে থাকে আক্ষেপ, ইনিংসগুলো শেষ হওয়ার ধরনে থাকছে চরম হতাশা। তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের বিদায় আলগা শটে, ভীষণ বাজে শটে অধিনায়ক মুমিনুল হক। দারুণ খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত আউট দৃষ্টিকটু রান আউটে। সাদমানের আউটের ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল।
উইকেট প্রথম দিনে ছিল ব্যাটিং সহায়ক। কিছুটা টার্ন মিলেছে বটে। তবে বাউন্স ছিল বেশ সমান, বল ব্যাটে এসেছে ভালোভাবেই। এখানে আগে ব্যাটিংয়ের ফায়দা পুরোপুরি নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
বিপদ বাড়তে পারত আরও, যদি লিটন দাসের ২ রানে রাকিন কর্নওয়ালের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ না পড়ত। লিটন দিশেষে অপরাজিত ৩৪ রানে, সঙ্গে ৩৯ রানে সাকিব আল হাসান। শেষ স্বীকৃত দুই ব্যাটসম্যানের ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে খানিকটা স্বস্তিতে অন্তত দিনটি শেষ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
৩ উইকেট নিয়ে প্রথম দিনে ক্যারিবিয়ানদের সফলতম বোলার বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান। অফ স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল উইকেট না পেলেও খারাপ বল করেননি।
Leave a comment