করোনাভাইরাসের ধাক্কা তো বটেই, সাদমান ইসলামের ক্রিকেটে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল চোট। লম্বা সময় পুনর্বাসনে থাকতে হয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। তার ফেরার পথটা আরও কঠিন হয়েছিল কারণ তিনি শুধুমাত্র টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখার তৃপ্তি আরও মধুর হয়েছে ফেরাটা হাফসেঞ্চুরিতে রাঙিয়ে নেওয়ায়। তবে আবার ইনিংস আরও লম্বা করতে না পারার আক্ষেপের সুরও বাজছে তার হৃদয়ে।
তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী কে হবেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের টেস্ট শুরুর আগে প্রশ্নটা ঘুরপাক খেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। টিম ম্যানেজমেন্ট সাদমানের ওপরই আস্থা রাখে। আর বাঁহাতি ব্যাটসসম্যান সেই আস্থার জবাব দিয়েছেন ৫৯ রানের ইনিংস খেলে। করোনা বিরতি ও চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর মাঠে ফিরেই দারুণ ইনিংস খেলার তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
‘তা তো অবশ্যই ভালো লাগছে। অনেকদিন পর ফিরেছি। আশা করছি, দল আমার কাছে যে প্রত্যাশা করেছে কিংবা আমার নিজের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল, আমি আমার জায়গা থেকে সেরাটা দিতে পেরেছি।’- চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বলেছেন সাদমান।
প্রাপ্তির আনন্দের সঙ্গে আক্ষেপের বেসুরও বাজছে তার মনে। ভালো শুরু পেয়েও যে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়ে এলবিডাব্লিউ ও রিভিউ না নেওয়ায় ফিফটির পরপরই শেষ হয় সাদমানের ইনিংস। সব মিলিয়ে আরও একটু সময় ক্রিজে থাকতে না পারার আক্ষেপ ঝরেছে তার কণ্ঠে, ‘ইনিংস আরেকটু বড় করা গেলে ভালো হতো। তবে আমি আমার জায়গা থেকে বলবো, দলের ভালোর জন্য যতটা সম্ভব নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
যেহেতু জাতীয় দলে শুধু এক সংস্করণে খেলার সুযোগ হয় তার, তাই চোট কাটিয়ে ফেরার পথে একক অনুশীলন করতে হয়েছে সাদমানকে। সেই পথটা কেমন ছিল? তরুণ ওপেনার বললেন, ‘তেমন কোনও চাপ ছিল না। একটা ফরম্যাটে খেলতে গেলে এটার মুখোমুখি হতে হয়। আমি এটা মেনে নিয়ে ওভাবেই মানসিকভাবে তৈরি ছিলাম। জানতাম, টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই আমাকে ফিরে আসতে হবে। তাই আমি চেষ্টা করেছি ফতুল্লাতে অনুশীলন করে কীভাবে কামব্যাক করা যায়, নিজেকে তৈরি রাখা যায় এবং সুযোগ এলে কীভাবে পারফর্ম করা যায়।’
সব ফরম্যাট খেলার স্বপ্ন দেখেন সাদমানও, ‘সবারই ইচ্ছা থাকে সব ফরম্যাট খেলার। আমার যেহেতু একটা শুরু হয়েছে, ভালো খেলতে থাকি বাকিটা ইনশাল্লাহ চলে আসবে।’
Leave a comment