বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে আজ যখন করোনার মহা তাণ্ডব চলছে তখন অনেক দেশের আগেই আমরা বাংলাদেশে সবার মাঝে পর্যায়ক্রমে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি এবং দিচ্ছি। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনার ভয়াল থাবা তেমন গ্রাস করতে পারে নাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ যেভাবে জনপ্রতিনিধিসহ সকল জনগণ যেভাবে করোনার টিকা নেওয়া শুরু করেছে তাতে এই কার্যক্রম একশত ভাগ সফল হবে। তাই আজ শেখ হাসিনা মানুষের মনের মণিকোঠায় মিশে গিয়েছেন।
একটি পত্রিকার নিয়মিত সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলোচকরা। মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমি প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় একটা কথা বলে যে, মানুষ আর মাটি এই দুটি যদি থাকে তাহলে কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সমস্ত শক্তির মূলে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বঙ্গবন্ধু যেমন এই দেশটাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছেন ঠিক তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এই দেশটাকে সারা বিশ্বের বুকে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার যে এই একযুগ পূর্তি এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই করোনা মুহূর্তে আজকে আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৫.২৪%। বর্তমানে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬৫%। আজকে সারা বিশ্বের অনেক দেশে যেভাবে খাদ্য মন্দা দেখা দিয়েছে সেখানে আমাদের দেশে ৪ কোটি মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত আছে। আমাদের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান এই মুহূর্তে অষ্টম। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আমি অত্যন্ত আশাবাদী এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন অতিক্রম করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যে পণ্য রপ্তানি করি তা এই করোনকালীন সময়ে অনেক কমে গিয়েছে, একটু ধাক্কা খেয়েছি এই খাতে আমরা। আমরা সবচে বেশি রেমিটেন্স পাচ্ছি সৌদি আরব থেকে। গত তিন মাসে আমরা সৌদি আরব থেকে ৫১ হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স পেয়েছি। আজকে আমাদের দেশে কৃষির এক অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছি। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ৪০.৬% অবদান রাখে এই কৃষি খাত। আমাদের দেশে এখন শিশু শিক্ষার হার শতভাগে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সাল জুড়েই সারা পৃথিবীতে মহামারি করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালিয়েছে। এর ছোবল থেকে বাদ যায়নি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। তবে চীনে করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় কাজ শুরু করেন। যার কল্যাণে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম দেশ হিসেবে সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও অর্থনীতি চাকা থেমে থাকেনি। বরং এই খাতে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশে রূপান্তরিত হয়েছ। মানবউন্নয়ন সূচকে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৩৩। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ২০২০ সালের দ্য হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে আছে। আমি বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনার যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন আমরা উন্নয়নের দিকে আরও এক ধাপ অগ্রসর হতে থাকবো।
Leave a comment