বিগ থ্রির শেষ সম্রাট তাকে ধরাই যায়। যে রাজ্যে একটা সময় ছিল কেবল রজার ফেদেরারের শাসন। সেখানে ভাগ বসান রাফায়েল নাদাল। একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে দখলে নেন ক্লে-কোর্ট। তারই মাঝে উত্থান নোভাক জকোভিচের। একটু একটু করে টেনিসের মহামঞ্চে ছড়িয়ে দেন নিজের দ্যুতি। জয় করেন একের পর এক দুর্গ। এই তো ক’দিন বাদেই জকো তার ৩৪তম জন্মদিনের কেক কাটবেন। তার আগেই তো সার্বিয়ান তারকার কাছে ১৮ এলো নেমে। রোববার রড লেভার অ্যারেনার সব আলো নিজের করে নেন ‘দ্য হোবাক’। দুরন্ত দানিল মেদভেদেভকে হারাতে সময় নেন মাত্র এক ঘণ্টা ৫৩ মিনিট। ৩৪-এর জকোর কাছে পাত্তাই পেলেন না পুরো টুর্নামেন্টে দাপট দেখানো রুশ তারকা। উড়ে গেলেন ৭-৫, ৬-২, ৬-২ গেমে।
এই বয়সেও ক্ষুরধার জকো নিজেই একটু অবাক। ভেবেছিলেন চার-পাঁচ ঘণ্টা লড়ে তারপর ট্রফিটা নিতে হবে। কিন্তু মেলবোর্নের হার্ড কোর্ট যে তার জন্য অপেক্ষা করে ছিল। তাই তো ম্যাচের পর এই কোর্টকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি, ‘ধন্যবাদ এই কোর্টটাকে, ধন্যবাদ রড লেভার অ্যারেনাকে। প্রতিটি বছরই আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। বন্ধনটা দারুণভাবে চলছে আমাদের (কোর্ট আর জকো)।’
দুঃখটা মেদভেদেভের জন্য; আফসোসটাও তার সঙ্গী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই দিকের কোনোটিকেই মনের মধ্যে জায়গা দিলেন না তিনি। ২০১৪ সালে পেশাদার টেনিসে যাত্রা করা এই রুশ তারকার দু’বার হলো ফাইনালভঙ্গ। এবারের আগে ২০১৯ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেও ফিরতে হয় খালি হাতে। তাই বলে একটুও হতাশা নেই তার চোখেমুখে। উল্টো জকোভিচ যখন মেদভেদেভকে প্রশংসার মালা পরাচ্ছেন তখন হাসি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বরং জয়টা যে জকোর প্রাপ্য ছিল সেটাই বলেছেন, ‘সত্যিই কঠিন একটা টুর্নামেন্ট। তবে আমি হারতে আসিনি। আর হেরে গিয়ে কষ্টও নেই। কেননা এটা প্রথম রাউন্ডেও হতে পারত, এখন হয়েছে গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে। তা ছাড়া এ দিন আমার চেয়েও ভালো খেলেছে জকো। জয়টা তার প্রাপ্য ছিল। সামনে কখনও তার সঙ্গে এখানটায় ফাইনাল খেললে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা থাকবে।’
Leave a comment