খেলাধুলা

বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা লঙ্কান স্পিনার এখন অস্ট্রেলিয়ায় বাসচালক

Share
Share

ছয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন শ্রীলঙ্কান অফস্পিনার সুরাজ রানদিভ। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা। ভারতের মুম্বাইয়ে হওয়া সেই ফাইনালে আগে হুট করেই দেশ থেকে তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায় লঙ্কানরা।

সেই ফাইনাল ম্যাচে ৯ ওভারে ৪৩ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন রানদিভ। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার শিকার ৮৬ উইকেট। সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৬ সালে। পাঁচ বছর ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বাইরে থাকলেও, ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নেননি ৩৬ বছর বয়সী এ স্পিনার। আবার ঠিক ক্রিকেটের সঙ্গেও নেই তিনি।

নিজ দেশ শ্রীলঙ্কা ছেড়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন রানদিভ। মেলবোর্নে ফরাসিভিত্তিক বাস কোম্পানি ট্রান্সডেভের হয়ে বাসচালকের চাকরি করেন তিনি। শুধু রানদিভ একা নন, শ্রীলঙ্কার আরেক ক্রিকেটার চিন্থাকা নামাস্তে এবং জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে ওয়াডিংটন মোয়ায়েঙ্গাও একই কোম্পানির হয়ে বাস চালান।

এ তিনজন ক্রিকেটারই স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলে থাকেন। তবে জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিতে হয়েছে ভিন্ন পথও। বিভিন্ন পেশার প্রায় ১২০০ জন ড্রাইভারকে চাকরি দিয়েছে ট্রান্সডেভ কোম্পানি। রানদিভসহ এ কোম্পানিতে চাকরি করা তিন ক্রিকেটার আশায় আছেন, নিকট ভবিষ্যতে ট্রান্সডেভই নিজেদের ক্রিকেট দল বানাবে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যাত্রা শুরুর পর ১২ টেস্টে ৪৩, ৩১ ওয়ানডেতে ৩৬ এবং ৭ টি-টোয়েন্টিতে ৭টি উইকেট শিকার করেছেন রানদিভ। পাশাপাশি ব্যাট হাতে তিন ফরম্যাট মিলে ৪৩৫ রান রয়েছে তার নামের পাশে।

এখন অস্ট্রেলিয়ায় বাসচালকের চাকরি করা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে শুধুমাত্র রানদিভই ডিস্ট্রিক্ট পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছেন। ভিক্টোরিয়া প্রিমিয়ার ক্রিকেটের অধীনে থাকা ডান্ডেনং ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলে থাকেন তিনি। যেটি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রাদেশিক টুর্নামেন্টগুলোতে অংশ নেয়। জেমস প্যাটিনসন, পিটার সিডল এবং সারাহ এলিয়টের মতো ক্রিকেটাররাও খেলেছেন এ ক্লাবের হয়ে।

সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট সিরিজে, স্বাগতিক দলের অনুশীলনে সহায়তা করেছিলেন রানদিভ। মূলত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ডাকেই অসিদের অনুশীলনে নেট বোলার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রানদিভ বলেছেন, ‘আমাকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে বলা হয়েছিল তাদের বোলারদের বিপক্ষে বোলিং করতে। আমি এ সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি।’

এদিকে চিন্থাকা নামাস্তের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। তিনি শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছেন ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, করতে পেরেছে ৪৯ রান। অন্যদিকে মিডিয়াম ফাস্ট বোলার ওয়াডিংটন ২০০৫-০৬ এর মাঝে জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন ১ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে ম্যাচ।

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles
খেলাধুলাসর্বশেষ

ব্রাজিলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্জেন্টিনা

একটি ক্লাসিক ম্যাচ, এক অবিশ্বাস্য স্কোরলাইন, আর আর্জেন্টিনার ফুটবলের নতুন প্রজন্মের দুর্দান্ত...

খেলাধুলাসর্বশেষ

শেষ ওভারে ছক্কায় রুদ্ধশ্বাস জয়, সেরা চারে খুলনা

শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। হাতে ৬ উইকেট। ম্যাচটি হেসেখেলেই...

খেলাধুলাসর্বশেষ

রোহিতকে পাকিস্তান পাঠাতে চায় না ভারত

পাকিস্তানের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-২০২৫ নিয়ে ভারতের আপত্তির যেন...

খেলাধুলাসর্বশেষ

চিটাগংকে ৮ উইকেটে হারালো ঢাকা

লিগ পর্বের শেষভাগে জ্বলে উঠেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। দুদিন আগে এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে...