অর্থ ও বাণিজ্যঢাকাপ্রচ্ছদসর্বশেষ

বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না: গয়েশ্বর

Share
Share

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বাণিজ্য ও ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখলে নরেন্দ্র মোদী ও সোনিয়া গান্ধী কপাল ঠোকাঠুকি করতে পারবেন, কিন্তু দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ শতাংশ।

আমরা তো শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা এবং এলসি এসব যদি বন্ধ থাকে তাহলে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব না। মোদী এবং সোনিয়া গান্ধী সবাই বসে কপাল ঠোকাঠুকি করতে পারবেন কিন্তু দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবেন না।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে, সাহিত্যিক সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত ‘নেতা ও কবি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর: আমাদের অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের যত দোষ ত্রুটি আছে, এটা কতটুকু রিফর্ম করব তা আমাদের বিষয়। আমাদের তো একটা ফরেন পলিসি আছে। আমরা বলেছি, সকল দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু কোনো প্রভুত্ব না। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ফরেন পলিসি থাকতে হবে। ছোট বড় দেশ বলে কোনো কথা নাই। প্রতিটা দেশই কারো না কারো ওপর নির্ভরশীল। আমেরিকা এত বড় একটা দেশ তাদের অস্ত্র বানানো ছাড়া কোনো কারখানা নেই। কিন্তু তাদের পোশাকের জন্য বাংলাদেশ ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং তারাও নির্ভরশীল কোনো না কোনো দেশের ওপর। সুতরাং ভাতর যে কাজটা করছে, তারা নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারছে।

তিনি বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বোঝে তাহলে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে মুখোমুখি। আজকে তারা নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে, মালদ্বীপের সঙ্গে হারিয়েছে, এমনকি ভুটানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। তাদের ভাবতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার ভেতর সবগুলো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে তারা কীভাবে চলবে। কোনো দেশই ভারতের সঙ্গে আপস করছে না। ভারতের অবস্থা বাঘ ও শিয়ালের গল্পের মতো হয়ে গেছে!

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংস্কারের কোনো শেষ নেই। কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সুদৃষ্টির কথা কেউ বলেন না। এখন দুনিয়ার সব পণ্ডিতরা একত্রিত হয়েছেন কিন্তু কেউই রাজনীতিবিদ নন। সব সময় সকল দেশের রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদরাই সমাধান করেন। যারা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছেন তারা যদি মনে করেন তারাই সব তাহলে কীভাবে হবে? তাহলে জাতীয় এই ঐক্য ধরে রাখতে পারবেন কতক্ষণ। জাতীয় ঐক্য তখনই হয় একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তার মতামত প্রকাশের মাধ্যমে। ৬ তারিখের পর থেকে আমি অনেক কথা বলতাম, এখন দেখি আমার দলের লোকজন অনেক কথা বলে তাই আমি আর বলি না। তবে আবার যখন কোনো কিছু দেখব তখন আবার বলব। তবে সব কিছুরই শেষ আছে, আর যার শেষ ভালো তার সব কিছুই ভালো।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন, সঞ্চালনা করেন দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জহিরুল ইসলাম কলিম।

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles
জাতীয়সর্বশেষ

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১২০০ ট্রেনযাত্রী

হঠাৎ ১০ ফুট রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ১২০০ ট্রেনযাত্রী।...

বিনোদনসর্বশেষ

অভিনয় ছেড়ে সন্ন্যাস নিলেন বলিউড অভিনেত্রী

বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। জুটিবেঁধে কাজ...

আন্তর্জাতিকসর্বশেষ

শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির ড্রোন বানাচ্ছে চীন

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছু দিন আগে পরবর্তী...

বিনোদনসর্বশেষ

পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন...